কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বাসিন্দারা নিয়মিত ট্যাক্স-ভ্যাট পরিশোধ করলেও পাচ্ছে না নাগরিক সুবিধা। পাড়া-গাঁয়ের গ্রামীণ সড়কসহ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ বিপন্ন হয়ে উঠেছে। পাবলিক শৌচাগার না থাকায় মল-মূত্রের গন্ধে নাকে রুমালচাপা দিয়েও হাঁটা-চলা যাচ্ছে না বিকট দুর্গন্ধে। এতে ঘরে ঘরে বাড়ছে রোগ-বালাই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাতামুহুরী ব্রিজ-লাগোয়া পৌরসভাস্থ মহাসড়কের ফুটপাতজুড়ে আবর্জনার ভাগাড়। পাউবো ও সওজের অধিগ্রহণ করা জমি কতিপয় ব্যক্তি দখল নিয়ে ওই জমির খাদ ভরাট করতে আবর্জনা জমানো হচ্ছে পৌরসভার কতিপয় পরিচ্ছন্নকর্মীর সাথে চুক্তি করে। সড়ক-লাগোয়া খাদ ভরে বর্তমানে মহাসড়কের ফুটপাতেও ওই দুর্গন্ধময় আবর্জনার স্তূপ হয়ে আছে। সেখান থেকে চতুর্দিকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। অপরদিকে, পৌরশহরের বালক বিদ্যালয় সড়ক, বালিকা বিদ্যালয় সড়ক, খোদারকুম, ভাঙ্গারমুখ, ফুলতলা, কোচপাড়াসহ বাজারকেন্দ্রিক ও বসতি যোগাযোগে ব্যবহৃত ছোট-বড় সড়কগুলোতে ময়লা-আবর্জনা লেগেই আছে। সামান্য বৃষ্টি পড়লেই পানি জমার পাশাপাশি আবর্জনা পঁচে কাদায় একাকার এবং গন্ধে হাঁটাচলা দুরূহ হয়ে পড়ে। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত চকরিয়া পৌরসভার আয়ুষ্কাল ২২ বছর হলেও পৌরশহরের কোথাও নির্মাণ করা হয়নি পাবলিক শৌচাগার। বিপণি কেন্দ্রগুলোতে সওদা করতে আসা নারী-পুরুষ-শিশুকে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে হলেও তারা শৌচাগার না থাকায় পায়খানা-প্র¯্রাব করতে পারে না। কেউ কেউ লজ্জা বাদ দিয়ে সড়কের পাশেই মল-মূত্র ত্যাগ করে। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে দ্রুত। সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ময়লা-আবর্জনা ও মলমূত্রের কারণে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে আমাদের কষ্ট হয়। নাকে ওড়না চাপা দিলেও গন্ধ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। প্রাইভেট হাসপাতাল জমজমে আসা ভাইরাস-আক্রান্ত রোগী আসমাউল হোসনা বলেন, জ্বর-কাশির চিকিৎসা করতে হাসপাতালে যাই। কিন্তু ওই হাসপাতালে যাওয়া-আসার পথে গলির মুখেই আবর্জনা থেকে আসা দুর্গন্ধে বমি শুরু হয়। এতে আমার রোগ আরো বেড়ে যায়। চকরিয়া সরকারি বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আমরা বিদ্যালয় সীমানার ভিতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলেও বিদ্যালয়ের বাইরে রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করতে সমস্যা হয় বিকট দুর্গন্ধের কারণে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, আবর্জনা ফেলার উপযুক্ত স্থান না থাকায় মহাসড়কের পাশে খাদে ফেলা হচ্ছে। প্রশাসনের সাথে পরামর্শক্রমে আবর্জনা ফেলার বিকল্প পন্থা পাওয়া গেলে পৌরশহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে। এছাড়া অচিরেই একাধিক পাবলিক শৌচাগার নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রকাশ:
২০১৬-০৮-১৪ ১৩:৪০:৪৯
আপডেট:২০১৬-০৮-১৪ ১৩:৪০:৪৯
- চকরিয়ায় আ,লীগের প্রভাবে দখল হওয়া বাজার ফিরে পেতে চায় ব্যবসায়ীরা
- চকরিয়ার যুবলীগ নেতা কছিরের রয়েছে সম্পদের পাহাড়
- চকরিয়ায় ডাকাতের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হলেন তরুণ সেনা কর্মকর্তা তানজিন
- ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
- চকরিয়ায় ইট বোঝাই ডাম্পার ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে ভন্ড বৈদ্যের আবির্ভাব
- বৈষম্য মূলক নিয়োগে ফুঁসে উঠেছে চৌদ্দ হাজার সিএইচসিপি!
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- চকরিয়ায় ডাকাতের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হলেন তরুণ সেনা কর্মকর্তা তানজিন
- ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
- চকরিয়ার যুবলীগ নেতা কছিরের রয়েছে সম্পদের পাহাড়
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে ভন্ড বৈদ্যের আবির্ভাব
পাঠকের মতামত: